কলকাতা লিগে মহমেডানের কাছে আটকে গেল ইস্টবেঙ্গল। শুক্রবার নৈহাটি স্টেডিয়ামে খেলা শেষ হল ২-২ অমীমাংসিত অবস্থায়। দুই অর্ধে দুই দলই একটি করে গোল করেছে। মহমেডানের হয়ে গোল করেন সামাদ এবং রবিনসন। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে জোড়া গোল জেসিনের।
ম্যাচটা জিতলে ইস্টবেঙ্গল কলকাতা লিগ কার্যত নিজেদের দখলেই নিয়ে নিত। কিন্তু ড্র হওয়ায় এখনও ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে রাখা যাচ্ছে না। ১৫ ম্যাচে ৪১ পয়েন্ট হল ইস্টবেঙ্গলের। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ডায়মন্ড হারবার এফসি-র ১৪ ম্যাচে ৩৫। পরের ম্যাচে ইস্টবেঙ্গল যদি ডায়মন্ড হারবারকে হারাতে পারে তা হলে কলকাতা লিগ জেতার তারাই প্রধান দাবিদার হবে।
ম্যাচের শুরু থেকে কোনও দলকেই নির্দিষ্ট ছন্দে দেখতে পাওয়া যায়নি। আগের ম্যাচগুলিতে ইস্টবেঙ্গল যেমন ক্ষুরধার খেলেছিল মহমেডান ম্যাচে সেটা দেখা যায়নি। বিনো জর্জের ছেলেরা নিজেদের পায়ে বল বেশি ক্ষণ রাখতে পারছিলেন না। ২১ মিনিটে গোল খেয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। মাঝমাঠ থেকে হীরা মণ্ডলের মাথার উপর দিয়ে ক্রস ভাসিয়েছিলেন মহমেডানের সুজিত। রাইট ফুলব্যাক জোসেফ ডান পায়ে নিয়ন্ত্রণ করেন। বাঁ দিকে পাস দেন বামিয়া সামাদের উদ্দেশে। চলতি বল ফাঁকা গোলে ঠেলে দেন সামাদ।
৪০ মিনিটে ইস্টবেঙ্গল গোল শোধ করে। সেই মুহূর্তে পর পর আক্রমণ করতে থাকে তারা। ডান দিক থেকে বাঁ পায়ে তোলা বিষ্ণুর ক্রসে চলতি বলে শট মেরে গোল করতে গিয়েছিলেন তন্ময়। সেই বল ঠিক জায়গায় লাগেনি। তা জেসিনের গায়ে লেগে দিক পরিবর্তন করে গোলে ঢোকে।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আবার এগিয়ে যায় মহমেডান। গোল করেন রবিনসন সিংহ। সুজিতের থেকে বল পেয়েছিলেন লালথানকিমা। তিনি বল নিজের দখলে রাখতে পারেননি। ইস্টবেঙ্গলের ডিফেন্ডারেরাও বল ক্লিয়ার করতে পারেননি। ফাঁকায় শট করে গোল করেন রবিনসন।
ইস্টবেঙ্গল আবার গোল শোধ করে ৭৬ মিনিটে। এ বারও গোল করেন জেসিন। মাঝমাঠ বল বাড়িয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গলের মিতেই। মহমেডানের ডিফেন্ডারেরা অনেকটা এগিয়ে এসেছিলেন। তাই তাঁদের এড়িয়ে আক্রমণে উঠে যাওয়া জেসিনকে তাঁরা ধরতে পারেননি। বক্সে ঢুকে বেশ কিছুটা দূর থেকে গড়ানো শটে গোল করেন জেসিন।