কাতার বিশ্বকাপে দুরন্ত ফর্মে ছিলেন মার্তিনেস। মেসির পাশাপাশি আর্জেন্টিনার সমর্থকদের চোখের মণি হয়ে উঠেছিলেন তিনি। সেই মার্তিনেসই এ বার নির্বাসিত।
আর্জেন্টিনার এমিলিয়ানো মার্তিনেস নির্বাসিত। খারাপ আচরণের কারণে দু’ম্যাচের জন্য তাঁকে নির্বাসিত করল ফিফা। যে কারণে ভেনেজুয়েলা (১০ অক্টোবর) এবং বলিভিয়ার (১৫ অক্টোবর) বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে খেলতে পারবেন না মার্তিনেস।
২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপ জিতেছিল আর্জেন্টিনা। সেই দলের গোলরক্ষক ছিলেন মার্তিনেস। ফাইনালে তিনি ফ্রান্সের নিশ্চিত গোল আটকে দিয়ে নায়ক হয়েছিলেন। গোটা বিশ্বকাপেই দুরন্ত ফর্মে ছিলেন মার্তিনেস। মেসির পাশাপাশি আর্জেন্টিনার সমর্থকদের চোখের মণি হয়ে উঠেছিলেন তিনি। সেই মার্তিনেসই এ বার নির্বাসিত।
কী করেছিলেন মার্তিনেস?
দু’টি ঘটনার জন্য নির্বাসিত করা হয়েছে মার্তিনেসকে। প্রথমটি ঘটে ৫ সেপ্টেম্বর। সে দিন আর্জেন্টিনার ম্যাচ ছিল চিলির বিরুদ্ধে। অভিযোগ, সেই ম্যাচ জিতে কোপা আমেরিকার একটি প্রতিকৃতি নিয়ে অশালীন ভঙ্গিতে উদ্যাপন করেন মার্তিনেস। ২০২২ সালে বিশ্বকাপ জিতেও এমন ভাবেই উদ্যাপন করেছিলেন তিনি।
দ্বিতীয় ঘটনাটি ১০ সেপ্টেম্বরের। সেই ম্যাচে কলোম্বিয়ার বিরুদ্ধে হেরে যায় আর্জেন্টিনা। ১-২ গোলে হারের পর মার্তিনেস এক চিত্রগ্রাহককে ধাক্কা মারেন। আর্জেন্টিনার গোলরক্ষকের বিরুদ্ধে চড় মারার অভিযোগও রয়েছে। সেই ম্যাচে কলোম্বিয়ার সমর্থকেরা বার বার কটূক্তি করছিলেন মার্তিনেসকে। চিত্রগ্রাহক জনি জ্যাকসনের অভিযোগ তাঁকে চড় মেরেছিলেন মার্তিনেস। সেই চিত্রগ্রাহক বলেন, “হঠাৎ আমাকে চড় মারেন উনি। আমার খুব রাগ হয়। আমি আমার কাজ করছিলাম। মার্তিনেসও নিজের কাজ করছিলেন। তার মাঝেই হঠাৎ ওই ঘটনা ঘটে।”
মার্তিনেস নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু ফিফা তাঁর যুক্তি মানেনি। তাই ফিফার শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি মার্তিনেসকে দু’ম্যাচের জন্য নির্বাসিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।