কলকাতা ময়দানে যেন সবকিছুই সম্ভব। পর্তুগিজ তারকা নুনো রুইজকে (Nuno Reis) সই করাল মোহনবাগান (Mohun Bagan)। কিন্তু তাঁর আসার কথা ছিল মহামেডানে।
এই চমকটি যে আসতে চলেছে, তা বোধহয় অতি বড় সবুজ মেরুন সমর্থকও ভাবেননি। মহমেডানে প্রায় চূড়ান্ত হয়ে যাওয়া ডিফেন্সিভ-মিডফিল্ডার রুইজকে সই করিয়ে কার্যত চমকে দিল মোহনবাগান। সেই ৮০-৯০ দশকে, কলকাতা ময়দানের চেনা দলবদলের স্মৃতিই যেন ফিরিয়ে আনল সবুজ-মেরুন টিম ম্যানেজমেন্ট।
নিজেদের রক্ষণভাগকে আরও শক্তিশালী করতে সই করানো হল একদা মেলবোর্ন সিটিতে জেমি ম্যাকলারেনের সতীর্থ নুনো রুইজকে। প্রসঙ্গত, পর্তুগালের এই ডিফেন্সিভ-মিডফিল্ডারের সঙ্গে প্রায় পাকা কথা হয়ে গেছিল সাদা-কালো কর্তাদের। মহামেডান শিবিরের দাবি ছিল যে, রুইজের সঙ্গে এক বছরের চুক্তিও নাকি হয়ে গেছে। ভিসা পেয়ে গেলেই এদেশে চলে আসার কথা ছিল তাঁর।
এমনকি, সবকিছু ঠিক থাকলে আইএসএলে (ISL) নিজেদের প্রথম ম্যাচের আগেই দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার ছিল এই বিদেশির। কিন্তু এ যেন কার্যত ছোঁ মেরে তুলে নেওয়া। মহামেডানের টার্গেটকে নিজেদের দলে সই করিয়ে মোহনবাগান রীতিমতো বিস্ময় তৈরি করে দিয়েছে ফুটবল মহলে।
এদিকে সবুজ মেরুনে সই করার পর রুইজ জানিয়েছেন, “আমার কাছে অনেকগুলি দেশের ক্লাবের থেকেই প্রস্তাব ছিল। এমনকি, ভারতের একাধিক ক্লাবও যোগাযোগ করেছিল। সেইসঙ্গে, কলকাতারই আরও একটি ক্লাবের প্রস্তাব পাই আমি। তবে ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং ধারাবাহিক সাফল্য আমাকে মোহনবাগান সম্পর্কে উৎসাহিত করে তোলে।”
তাঁর কথায়, “ক্লাব ম্যানেজমেন্টের পেশাদারিত্বও আমাকে রীতিমতো মুগ্ধ করেছে। ম্যাকলারেন সহ কয়েকজন পরিচিত ফুটবলার সবুজ মেরুন জার্সি গায়ে চাপিয়ে খেলছে। ওদের কাছ থেকে সমর্থকদের আবেগ এবং উচ্ছ্বাসের কথা অনেক শুনেছি। তাই চেষ্টা করব যে, নিজের সেরাটা উজাড় করে দেওয়ার।”
উল্লেখ্য, পর্তুগালের যুব দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে রুইজের ঝুলিতে। বিভিন্ন পর্যায় মিলিয়ে পর্তুগালের হয়ে মোট ৭৫টি ম্যাচে মাঠে নেমেছেন তিনি। অস্ট্রেলিয়া ছাড়াও ফ্রান্স, বেলজিয়াম এবং গ্রিসেও ক্লাব ফুটবল খেলেছেন তিনি। সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, রক্ষণের পাশাপাশি মাঝমাঠেও খেলতে পারেন এই তরুণ ফুটবলারটি।